Saturday, February 26, 2011

প্রশ্ন ও উত্তর

আমরা কোথা থেকে এসেছি???????
মানুষ যখন থেকে তাদের আশে-পাশে জগত নিয়ে চিন্তা করেছে তখন থেকে এক প্রশ্ন আমরা কোথা থেকে এসেছি?
এই প্রশ্নের উত্তর আমরা বিভিন্ন ভাবে দিয়েছি।কিন্তু আমরা যদি খুব ভাল ভাবে চিন্তা করি তাহলে মূলত এই প্রশ্নের দুইটি উত্তর আমাদের জানা এবং তা এসেছে দুইটি বিখ্যাত তত্ত্ব থেকে তা হল-
১.ঐশ্বরিক তত্ত্ব
২.ডারউনের র্বিবতনবাদ তত্ত্ব
আমরা এই দুটি মতবাদ সর্ম্পকে খুব ভালো করে জানি।তবে একটা কথা বলতে হয় তা হল বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ আর আবিষ্কার বর্তমান কালে ডারউনের মতবাদের ভিত্তি যেমন দূর্বল করে দিয়েছি, আবার তেমনি কোন ক্ষেত্র শক্তিশালী করেছে।এর মানে ঐ তত্ত্ব নিয়ে বির্তকের সুযোগ আছে।আর থাকে ঐশ্বরিক তত্ত্ব।তবে একথা সত্য যে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ এটা প্রমাণ করে যে বিগ ব্যাং (big bang) ‌এর পর কোন এক শক্তি কাজ করেছিল সে সময়ের অস্তিতিশীল বিশ্বকে একটি কঠোর নিয়মের মধ্যে আনতে।বিজ্ঞানীরা এই শক্তিকে বলছেন প্রাকৃতিক শক্তি আর আমরা বিশ্বাসীরা বলি ‘সৃষ্টিকর্তা’।
আমার আগের একটি ব্লগে আমি ভিন্নগ্রহের প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু কথা বলেছি আসলে কি আমাদের এই পৃথিবীর বুকে এসেছিল কোন ভিন্নগ্রহের প্রাণী? আসলে এর সর্ম্পকে আমাদের কাছে জোরালো কোন প্রমাণ নেই।যা আছে অধিকাংশ বানেয়াট।
পুরাতত্ত্ববিদ  দানিকেন আমাদের সামনে কিছু প্রশ্ন রেখেছেন আর কিছু জিনিষের ব্যাখা চেয়েছেন যা আমাদের বর্তমান বিজ্ঞান দিতে পারেনা।আর সে যেসব ব্যাখা দিয়েছে তা একদম উড়িয়ে দেওয়া যায়না।
আর আমি গত লেখায় মিথ,পুরাণ,ধর্মগ্রন্থ থেকে কিছু প্রমাণ রেথেছিলাম।আপনারা অনেকে বলেছেন এগুলো বিশ্বাস যোগ্য নই।কিন্তু আমি বলব আসলে এগুলো সত্যি হাওয়ার সম্ভবনা বেশি।কেন বেশি আমি ব্যাখা করছি।
আমরা অনেক সময় অনেক রূপকথা পড়েছি আর আধুনিক কালে পড়ছি জাফর ইকবালের সাইন্স ফিকশন।আমি জানিনা আমরা কতটা মনোযোগ সহকারে পড়ি।আচ্ছা ‘হাট্টি মাটিম টিম’ কবিতাটি পড়িনি এমন কেউ খুজে পাওয়া যাবেনা মনে হয়।
আচ্ছা অদ্ভুত জন্তুটার কয় শিং ছিল?
উত্তর:দুই শিং
আবার গ্রিক মেথোলজির সাইক্লপস কিংবা হ্যারি র্পটারের ইউনিকর্ণ এর কয় শিং?
উত্তর:এক শিং
আমি বাজি ধরে বলতে পারি আমরা দুই আর এক শিং বাদে কোন অদ্ভুত প্রাণী খুজে পাবনা।কারণ মানুষ যা দেখে তার থেকেই কল্পনা করে।একারনে আমরা দুই আর এক শিং বাদে কোন অদ্ভুত প্রাণী কল্পনা করতে পারিনা কারণ আমাদের বাস্তবের কোন প্রাণীর এর চেয়ে বেশি শিং নেই।
এবার আপনি একটু চিন্তা করেন তাহলে বুঝতে পারবেন আসলে এটা সত্যি কথা।আর একটা কথা হল কোন চাক্ষুস ঘটনার বর্ণণা পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে প্রত্যক্ষর্দশীর ঘটনা সর্ম্পকে অজ্ঞতার কারণে।উদাহরণ দিচ্ছি আজ থেকে হাজার বছর আগের কোন মানুষকে যদি কেপ কেনেডি মহাকাশযান উত্তরণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয তাহলে মহাকাশযান উড্ডয়ণ এর ঘটনার আসল র্বণণা তার পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়।কারণ মহাকাশযান সর্ম্পকে তার অজ্ঞতা।
আসলে আমাদের পূর্বপূরুষদের সাথেও হযত এমনি কিছু একটা ঘটেছিল।আর একারণেই তারা ঘটনার বর্ণণা দিয়েছে অন্যরকম ভাবে।আমি আপনি যদি র্বণণাটা পড়ি তাহলে বুঝে পারব।মায়া পুরাণে বলা হয়েছে
“অবশেষে দেবতা চলে গেলেন তার রথে চড়ে।আর সে সময় আশ-পাশ প্রকম্পিত হল।আর দেবতার রথ করল অগ্নি উদগিরণ।“
আপনি ঘটনাটা চিন্তা করে দেথুন আপনার সামনে কিন্তু অন্য ছবি আসে তা হল একটি রকেটের উড্ডয়নের চিত্র এটি।
আর আমাদের পূর্বপূরুষরা আমাদের সামনে এমন সব ধাধা রেখে গেছেন তার উত্তর অনেকেই খোজার চেষ্টা করেছেন কিন্তু উত্তর নাই।
আসলে আমাদের পূর্বপূরুষরা এমন কিছু তথ্য জানত যা আমরা জেনেছি খুব আধুনিক কালে।যেমন ধবুণ আফ্রিকার “ডোগান” উপজাতির দেবতা হল “লুব্ধক” তারা।তাদের পুবানে আছে দেবতার নাকি এক
অদৃশ্য  সঙ্গী আছে।মজার বিষয় কি জানেন সত্যি এই তারাটি একটি অদৃশ্য বস্তুকে ঘিরে ঘুরছে।একে বলে ব্ল্যাক ম্যাটার(black matter)।প্রশ্ন জাগে অতি আধুনিক কালে আবিষ্কৃত এই তথ্যটি তারা জানল কি করে???????????????
আজ আর একটা কথা বলে শেষ করব তাহল ফ্রান্স নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল পিরি রইসের কাছে কিছু অতি প্রাচীন ম্যাপ ছিল যাতে ইউরোপ ও আফ্রিকার কিছু অংশ দেখান হয়েছে।তিনি খুব অবাক হলেন আসলেই ম্যাপটি কত পুরানো জানার জন্য তিনি এর কার্বন টেষ্ট করান পুরা ছয় হাজার বছর পুরানো
তবে এটা ঠিক প্রমাণিত হয় যে এই ম্যাপটি আসল থেকে নকল করা।আধুনিক কালেও এই ম্যাপ নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে একটি মজার তথ্য বেরিয়ে এসেছে তা হল কোন মহাকাশযান থেকে যদি পৃথিবীর ছবি নেওয়া হয় তাহলে লেন্স থেকে যে জায়গা গুলো দুরে তার ছবি বেকে যায় অ্যাডমিরাল পিরি রইসের ম্যাপেও এই বাকা দাগ দেখা যায়।প্রশ্ন হল এই ম্যাপ এর আসল কপি তাহলে মহাকাশ থেকে তোলা কোন ছবি ছিল???????
এই প্রশ্নের আসল উত্তর আমরা এখন জানিনা তবে আশা করি আমাদের উত্তরপুরুষেরা হয়ত এই ধাধার উত্তর খুজে বের করবে।

র্নিঘন্ট:
গ্রহান্তরের প্রাণী-সেবা প্রকাশনী

No comments:

Post a Comment